রাজশাহীতে হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এখানে শীতের দাপট চলছে। তবে শনিবার জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দিনই সূর্যের দেখা মেলেনি। আর সেই সঙ্গে বইছে শীতল হাওয়া।
এদিকে আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব মিলিয়ে শীতে কাঁপছে পুরো উত্তরাঞ্চল।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজশাহী অঞ্চলে শীতের মাত্রা বেড়েছে। তবে, চলতি বছরের শুরু থেকে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এই কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীতে বইছে হাড়কাঁপানো শীত। এই সময়ে প্রতিদিনই থাকছে ঘন কুয়াশা। অনেক বেলা পর্যন্ত এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম কয়দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে অবস্থান করছে। শনিবার এই তাপমাত্রা নেমে যায় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই রাজশাহীতে চলতি মাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।’
রাজশাহীতে দেখা মেলেনি সূর্যের, অনেকবেলা পর্যন্ত ছিল ঘন কুয়াশা/ ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে গত ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ জানুয়ারি ১১ ডিগ্রি, ৩ জানুয়ারি ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি, ৬ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামলে সেটিকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই অনুযায়ী রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এছাড়া কয়েক দফা শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, তাপমাত্রা খুব একটা নেমে না গেলেও কয়েকটি কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ সূর্যের প্রখরতা কম থাকা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছেই না। যেটুকু সময় দেখা যাচ্ছে তখনও এর তেমন তাপ থাকছে না। আবার হালকা বাতাসও থাকছে। এসব কারণেই তাপমাত্রা অনুপাতে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে।’