কুমিল্লায় টানা চার দিন সূর্যের দেখা নেই। দিনভর কুয়াশা, সন্ধ্যার পর বাতাসের গতিবেগের সঙ্গে বাড়তে থাকে শীত। এমন অবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। শনিবার পর্যন্ত এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দিন পার করছে কুমিল্লার মানুষজন।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া জানান, চলতি বছর ৪ জানুয়ারি কুমিল্লায় ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। এত কম তাপমাত্রা এর আগে রেকর্ড হয়নি। শনিবার দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সূর্য না থাকায় অতিরিক্ত ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রোববার থেকে এমন অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্ট বাড়ছে। দিনমজুরদের কাজে নিতে আসছে না কেউ।
নগরীর টাউন হলের সামনে কাজের জন্য ভিড় করেন শতাধিক দিনমজুর। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের অনেককেই বেকার বসে থাকতে দেখা যায়। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন।
নীলফামারীর বাসিন্দা জুয়েল বেওয়া বলেন, ‘হামার কোনো কাম নেই, বসিয়া থাকি। কেউ তো এলো না।’
রংপুর থেকে আসা রিকশাচালক আবাদ হোসেন বলেন, ‘গরম কাপড় ছাড়া এই শীতে রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। পায়ে মোজা লাগে, হাতে মোজা লাগে। এগুলো নেই তাই খুব কষ্টে আছি।’
তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষজন যেন কষ্ট না পায়, সে জন্য কম্বল বিতরণ শুরু করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘কুমিল্লা জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার পিস শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৬ হাজার এবং জেলা প্রশাসন থেকে ১০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।’