লন্ডনে নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্থাবর কোনো সম্পত্তি নেই। তাই বাজেয়াপ্তের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এমনটি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলের আগে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্থাবর কোনো সম্পত্তি নাই, বাজেয়াপ্ত করবে কি?’
এমন প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘সারা দেশই ক্রোক হয়ে গেছে, তারেক-জোবাইদার ক্রোকে আর কি আসে যায়?'
গয়েশ্বর বলেন, ‘তারেক রহমানের কোনো অস্থাবর সম্পত্তি নেই। মূলত ওয়ান-ইলেভেনে শেখ হাসিনা দেশে বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যাচার।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বকে ভয় পায় মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন এই সরকার লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে শূন্য করেছে। আর এখন তারেক রহমানের প্রতি তাদের রাগ। কারণ, তিনি দেশে না থেকেও দেশবাসীকে জাগ্রত করেছেন। তার নেতৃত্বে এই গণজাগরণে সরকার এখন আতঙ্কিত।
গয়েশ্বর বলেন, 'এই সরকারের মন্ত্রী বা এমপিরা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা লুট করেছে তার সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। তখন কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বোরকা পরেও রাস্তায় নামতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘কাচের ঘরে বাস করে অন্যের ভবনে ঢিল মারা বন্ধ করুন। না হলে ভবিষ্যতে দিশা পাবেন না, কোথায় যাবেন? আজকে চাকরির ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে সরকারকে পতন ঘটাতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। সবাই শরিক হবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির লিটন মাহমুদ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম ও যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মনির হোসেন চেয়ারম্যানসহ ছাত্রদল, যুবদল এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।