প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের পতিত দেড় হাজার বিঘা জমিতে সবজি ফলানোর উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস শনিবার কান্দি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা হাই স্কুল মাঠে এ বৈঠকে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়, কোটালীপাড়া উপজেলার কৃষিবিদ নিটুল রায়, কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধুসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
এতে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা এবং শতাধিক কৃষক অংশ নেন।
এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস কান্দি ইউনিয়নের জলাবদ্ধ পতিত জমি পরিদর্শন করেন। এ জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
কোটালীপাড়া উপজেলার কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, কান্দি ইউনিয়নের দেড় হাজার বিঘা জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে ধারাবাশাইল বাজার থেকে তরুর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে। খনন করে খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জলাবদ্ধ জমি থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। কৃষকরা চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বিনা মূল্যে বোরো ধানের চারা দিচ্ছি। সেই সঙ্গে জমি রোপণে শ্রমিকের ব্যবস্থা করেছি। ১ হাজার ৫০০ বিঘা জলাবদ্ধ পতিত জমিতে ধানের আবাদ হলে ৬০ হাজার মণ ধান উৎপাদন হবে, যার বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা।
‘এ ছাড়া আমরা ওই খালের চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার ভাসমান বেড করেছি। এখানে লাউ, কুমড়া, করলা, তরমুজ, সাম্মামসহ বিভিন্ন সবজি ও ফলের আবাদ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি ভাসমান বেডে অন্তত ৩০ লাখ টাকার সবজি ও ফল উৎপাদিত হবে।’
নিটুল আরও বলেন, ‘আমাদের এ কাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু সার্বক্ষণিক সহায়তা করছেন।
‘এটি বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।’