বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুয়াডাঙ্গায় হাড়-কাঁপানো শীতে রোগ বাড়ছে শিশুদের

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৩:২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। আজ হাসপাতালের আন্তর্বিভাগের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নতুন ১০ জনসহ ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ভর্তি ছিল ২০০ জন। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ১০ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।

পৌষের হাড়-কাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়, যা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতের এ তীব্রতা। ভোর থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা, এতে ঢাকা পড়েছে চারপাশ। খড়কুটো জ্বালিয়েই শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে। এ ছাড়া তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান শনিবার দুপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের দিনমজুর আজিবার রহমান বলেন, ‌'খুব ঠান্ডা পড়চি। সকালে মাঠে যাওয়া যাচ্চি না। হাত-পা অবশ হয়ে যাচি। শীতে টিনের ঘরেও থাকা যাচ্চি না। সারা দিন শুধু আগুন তাপাতি হচ্চি।'

সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ছেলেকে ভর্তি করেছেন আব্দুর রহিম।

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত শীতের কারণে আমার ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। গত তিন দিন থেকে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। ডাক্তার বলছেন, আরও কয়েক দিন থাকতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডায় রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। এমন সময় শিশুদের গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে। কুসুম গরম পানি পান করাতে হবে। তীব্র শীতে শিশুরা যেন বাইরে বের না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। আজ হাসপাতালের আন্তর্বিভাগের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নতুন ১০ জনসহ ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ভর্তি ছিল ২০০ জন। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ১০ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে ভর্তি ছিল ১০০ জন। এ ছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে শিশুই প্রায় ২০০ জন।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে ২০ হাজার ১০০ কম্বল পাওয়া গেছে, তা ইতোমধ্যে অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো খুব তাড়াতাড়িই হাতে পাওয়া যাবে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ নিয়ে চলতি মাসে দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবারও এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। গত ডিসেম্বর মাসে চার দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর