বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাতের গমে আশা মেহেরপুরের কৃষকদের

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:২৩

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে ব্লাস্ট শুরু হওয়ার পর গম চাষ বন্ধ ছিল। তারপর ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত বারি-৩৩, ডব্লিউএমআরআই অন টু থ্রি এইগুলো চাষ করার জন্য বলছি। এই জাতের গম ব্লাস্ট প্রতিরোধী এবং তাপ সহনশীল। এ জন্য এগুলো চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।’

কৃষিনির্ভর মেহেরপুরের কৃষকরা গত বেশ কয়েক বছর পর পর গম চাষে ক্ষতির মুখে পড়ছে। তবে চলতি মৌসুমে গমবীজ সংকটের মধ‍্যেও ব্লাস্ট প্রতিরোধী বারি-৩৩ জাতের গম চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

ভালো ফলনের আসায় জেলায় বেড়েছে গম চাষ। কৃষি বিভাগের ধারণা, চলতি মৌসুমে গম চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

প্রণোদনা হিসেবেও দেয়া হচ্ছে নতুন জাতের গমবীজ ও সার। ব্লাস্ট রোধে পুরোনো জাতের গম চাষ করতে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছে জেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষকরা বলছে, চলতি মৌসুমের মাঝের দিকে গমবীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধির মাঝেও বাড়িতে থাকা বীজ বপন থেকে বিরত থেকে ভালো ফলনের আসায় নতুন উদ্ভাবিত ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমবীজ বপন করেছেন তারা।

কৃষি বিভাগের দাবি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্লাস্ট প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল বারি-৩৩ ও গম গবেষণা ইনস্টিটিউট ডব্লিউএমআরআই এক, দুই, তিন জাতের গম ব্লাস্ট প্রতিরোধীর পাশাপাশি তাপ প্রতিরোধীও। হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এই জাতের গমে কোনো ক্ষতি হবে না।

তাই চলতি মৌসুমে কৃষকরা এসব গম বপন করেছেন। জমিতে গমও ভালো হয়েছে। জমিতে সেচ সারসহ এখন চলছে পরিচর্যার কাজ। কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন ভালো ফলনের।

২০১৬ সালে প্রথম মেহেরপুরে ব্লাস্ট রোগ শনাক্ত হয়। ওই সময় থেকে কৃষি বিভাগ বাড়ির বীজে গম চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করলেও টানা কয়েক বছর ধরে গমে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল চাষিরা।

এখন ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাতের গম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে মেহেরপুরে ১৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে তিন হাজার হেক্টর বেশি জমিতে গম চাষ হবে। ডব্লিউএমআরআই এক, দুই, তিন জাতের গমের ফলন পাওয়া যাবে হেক্টরপ্রতি ৪ থেকে ৫ টন। এতে কৃষক বেশি লাভবান হবে। তা ছাড়া বাজারে গমের দামও বেশ ভালো।

গম চাষি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আগে গম চাষ করেছি শতাব্দী, প্রদীপ তাতে রোগবালাই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- এবার তা বুনিনি। আমি চাষ করেছি ৩৩। ৩৩ গমের রোগবালাই কম তাই ৩৩ গম বুনেছি।’

জিল্লুর রহমান জানান, আগে যে গম চাষ করতাম সে গমে ব্লাস্ট রোগ হতো। সেই কারণে কৃষি বিভাগে পরামর্শে এবারে বারি-৩৩ গম চাষ করেছি, এটাতে ব্লাস্ট রোগ হবে না। আশা করি, ফলন আগের তুলনায় বেশি হবে।

গম চাষি আহাদ আলী বলেন, ‘গতবার গম বুনেছি, গম হয়ে গেছে নষ্ট। গম চাষ করতে যে টাকা খরচ হয়েছিল, তা ফেরত পাইনি। গতবার বাড়ির গম বুনেছি এবার অফিস থেকে বীজ নিয়েছি। বর্তমানে গম এখন ভালো আছে। শেষের দিকে কি হবে বলা যাচ্ছে না।’

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে ব্লাস্ট শুরু হওয়ার পর গম চাষ বন্ধ ছিল। তারপর ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত বারি-৩৩, ডব্লিউএমআরআই অন টু থ্রি এইগুলো চাষ করার জন্য বলছি। এই জাতের গম ব্লাস্ট প্রতিরোধী এবং তাপ সহনশীল। এ জন্য এগুলো চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।’

এ বিভাগের আরো খবর