ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে ধরে যাওয়া আগুনে শিশু ও তিন নারীসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
পৌরসভার কুমরাইল এলাকায় শনিবার ভোর পৌনে ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন গার্মেন্টসকর্মী ৩২ বছর বয়সী মো. মঞ্জুরুল, তার স্ত্রী ২৫ বছর বয়সী জোসনা আক্তার, তাদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম আক্তার, স্ত্রীর বড় বোন ৩০ বছর বয়সী হোসনা বেগম এবং ১৮ বছর বয়সী ভাগনি সাদিয়া আক্তার।
মঞ্জুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শী নিজাম শেখ বলেন, ‘ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। পৌনে ৭টার দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে। নিচতলায় গিয়ে দেখি, মঞ্জুরুলের রুমের ভেতর আগুন জ্বলছে।
‘ওরাই ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে আশপাশের সবাই মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুনে মঞ্জুরুল, তার স্ত্রী-সন্তানসহ আরও দুই নারীর শরীর ঝলসে যায়। শুনেছি ওই দুই নারী মঞ্জুরুলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
‘পাঁচজনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগেছে বলে আমাদের জানিয়েছে দগ্ধরা। পুরো বাড়ির সবাই তিতাস গ্যাস ব্যবহার করলেও মঞ্জুরুলের কক্ষেই কেবল সিলিন্ডার ব্যবহার করা হতো। ভোরে রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালানোর পরপরই মনে হয় দুর্ঘটনা ঘটছে।’
ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, এ রকম ঘটনা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, ‘ভোরবেলা পৌরসভার কুমরাইলে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। তবে বের হওয়ার আগেই ওখান থেকেই আগুন নিভে গেছে বলে আমাদের ফোন করে জানায়। তখন দগ্ধ হওয়ার কোনো খবর আমরা পাইনি। পরবর্তী সময়ে পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি।’