পূর্ব ঘটনার জেরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভিএক্সের কর্মীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলামসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৬ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এবং ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন।
গ্রুপ দুটি সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সংঘর্ষ চলাকালীন দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলে। পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি রাত পৌনে ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা রাতের শাটল ট্রেনে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন।
পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে সিক্সটি নাইনের দুই কর্মী এবং ভিএক্সের এক কর্মী আহত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ড. আবু তৈয়ব বলেন, তাঁর (শহীদুল ইসলাম) চোখের পাশে ইটের আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছেন।
সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, আগের দিনের সমস্যা ওদের মধ্যে সমাধান হয়নি। সেই জন্য আবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
এ ঘটনায় সিক্সটি নাইনের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু ও ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।