ঈশ্বরদীতে গুলি করে রিকশাচালক মামুনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাবের পাবনা কোম্পানি কমান্ডারের স্কোয়াড্রন লিডার মো. তৌহিদুল মবিন খান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন কাউন্সিলর মো. কামাল উদ্দিন ও মো. হৃদয়।
এদিকে ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন এবং তার ভাই আনোয়ার উদ্দিনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তিন থেকে চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।’র্যাব জানায়, বুধবার রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় একটি ভটভটি গাড়ির সঙ্গে মালবাহী পিকআপভ্যানের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পিকআপভ্যানের চালকের পক্ষ হয়ে মো. কামাল উদ্দিন, মো. আনোয়ার উদ্দিন, মো. হৃদয় ও মো. ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজন ওই এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
ঘটনার সময় রিকশাচালক মো. মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের মা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-০৪/২০২৩ (ঈশ্বরদী)।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন শৈলপাড়া ১২ কোয়ার্টার গ্রামে অভিযান চালিয়ে কামাল ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা।
রিকশাচালক মামুন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারখালি মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন আরও দু’জন। আহতরা হলেন পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে রকি হোসেন ও বাবু হোসেনের ছেলে সুমন। তারা রাজমিস্ত্রি।