বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিবিআই সেজে প্রতারণা, গ্রেপ্তার পিবিআইয়ের হাতেই

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৩৩

পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘এ চক্রটি বৃহত্তর ময়মনসিংহে বিভিন্ন পাবলিক, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জাল-জালিয়াতিসহ ডিজিটাল প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার আব্দুল কাইয়ুমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রটির সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পিবিআই কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ৩০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার আব্দুল কাইয়ুম অনিক ওই একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) রকিবুল আক্তার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মো. আব্দুর রাশেদ নামে এক ব্যবসায়ী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা এলাকায় তার সেবা ডায়গনস্টিক সেন্টারে যায়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারদিন আহম্মেদ পরিচয় দিয়ে কল করে জানায়, ‘তোমার নামে পিবিআইতে একটি মামলা হয়েছে এবং মামলার ওয়ারেন্ট আছে। তুমি আমাদের নগদ অথবা বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও। টাকা পাঠালে আমরা আসবনা, মামলাটি এখানে শেষ করে দিব।’ পাশাপাশি তাদের তৈরি করা এফআইআর কপি রাশিদুলের ইমো আইডিতে পাঠায়।’’

পরদিন সকাল ও বিকেলে অজ্ঞাত প্রতারকরা আবারও রাশিদুলের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের নগদ অথবা বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন। টাকা না দিলে সরাসরি পিবিআই কার্যালয়ে আসতে বলা হয়।

বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে রাশিদুল পরিবারের পরামর্শে পিবিআই কার্যালয়ে এসে জানতে পারেন এসআই ফারদিন আহম্মেদ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এখানে কর্মরত নেই। এটি নিশ্চিত প্রতারণা বুঝতে পেরে রাশিদুল আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

পরে চক্রটিকে ধরতে ছায়াতদন্ত শুরু করে পিবিআইয়ের আভিযানিক দল। বৃহস্পতিবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারকদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি রাশিদুল ইসলামকে জানালে ওইদিনই তিনি ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার আরও বলেন, ‘এ চক্রটি বৃহত্তর ময়মনসিংহে বিভিন্ন পাবলিক, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জাল-জালিয়াতিসহ ডিজিটাল প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার আব্দুল কাইয়ুমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রটির সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর