পৌঁষের হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, যা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোন উত্তাপ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। উত্তরের হিম শীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
খুব প্রয়োজন কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। টান পড়েছে আয় রোজগারে।
হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিনিয়ত অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, সকালে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাসের দাপটে মাঠে কেউ দাঁড়াতে পারছে না। আমরা খুব কষ্ট করে ফসল পরিচর্যা করছি। ঘন কুয়াশায় ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভ্যানচালক রিপন আলী জানান, সকালে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকায় মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। দোকানপাটও খুলছে দেরিতে। এতে আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে। শুধু পেটের দায়ে আমাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় আবারও মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। টানা তিনদিন পর সূর্যের দেখা মিললেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। অর্থাৎ, ঘন কুয়াশার চাপ থাকায় এমনটি হচ্ছে। এছাড়া বাতাসের আদ্রতার পরিমান বেশি। এমন অবস্থা আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে। গত ডিসেম্বর মাসে চারদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্য প্রবাহে রূপ নিতে পারে।