শাটল ট্রেনে কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।
বিবদমান গ্রুপ দুটি হলো শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স। উভয় পক্ষই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি।
বৃ্হস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন চত্বরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী মোড়ে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা রাতের শাটল ট্রেনে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মামুন ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. মানিক এবং ভিএক্স গ্রুপের কর্মী ও বোটানির ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শাহ পরানের নাম পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকি দুজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।’
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘জুনিয়র ছেলেদের ট্রেনের বগিতে বসা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডিকে বলেছি, যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আমরা সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘শাটল ট্রেনে জুনিয়রদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও শান্ত নয়, সমাধানের চেষ্টা চলছে। সিনিয়র পর্যায়ে কথা চলছে, সময় লাগবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’