প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দুপুরে খুলনার দিঘলিয়ায় যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত সফরে তিনি মূলত মায়ের জমি দেখতে সেখানে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ায় ১৪০ শতাংশ জমি আছে। সেখানে গোডাউন তৈরি করে ভাড়া দেয়া হয়েছে দীঘলিয়ার মন্ডল জুট মিলের কাছে। ভৈরব নদীর পাশে এই সম্পত্তি দেখতেই প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ব্যক্তিগত সফরের কারণে সেখানে সভা-সমাবেশ অথবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে যাওয়ায় অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
দিঘলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে এখানে সম্পত্তি আছে। সেটাই তিনি পরিদর্শনে আসবেন। এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত সফর। আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছি।’
স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রশাসন। লোকজনের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। রাস্তায় চলছে নিরাপত্তা টহল।
দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘দিঘলিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের জমি আছে। সেখানে আগে দুটি জরাজীর্ণ গুদাম ছিল, তা ভেঙে নতুন গুদাম করা হয়েছে। একটি সুন্দর অফিসও আছে। এটি বর্তমানে দীঘলিয়ার মন্ডল জুট মিলের কাছে ভাড়া দেয়া। তারাই এর দেখভাল করে।’
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত সফরে খুলনায় আসবেন। তিনি দুপুরে গোপালগঞ্জ থেকে স্থলপথে খুলনা আসবেন। তারপরও অন্য মাধ্যমে খুলনায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা রাখা আছে। তিনি এখানে তার মায়ের সম্পত্তি পরিদর্শন করবেন। এখানে তিনি ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারেন, এরপর ফিরে যাবেন গোপালগঞ্জ।’
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় স্বাগতম জানাতে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় প্রস্তুতি আছে। তবে সভা-সমাবেশ নেই।’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আমলে তার স্ত্রীর নামে খুলনা জেলার ভৈরব নদীর পাড়ে ১৪০ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পত্তির অংশীদার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় সেখানে পাটের গোডাউন ও একটি ঘর ছিল। যা তার ছোট ভাই শেখ আবু নাসের দেখাশোনা করতেন। পরে সেখানে নতুন করে গোডাউন ও একটি গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ সম্পত্তির বিষয়ে অবগত হন।