‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় স্মরণীয় দিন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনে দেশের সাংবিধানিক ধারা, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী অপশক্তির হত্যা-ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মিছিলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি যেকোনো উপায়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা।
‘বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য তথাকথিত হরতাল-অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সারা দেশে অগ্নি সন্ত্রাস চালায়। দেশের জনগণকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
‘তারা দিনের পর দিন শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে গাছ কেটে রেখে জনগণের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে; বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।’
জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আটকানো যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ, বোমাবাজি, অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েও বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নস্যাৎ করতে পারেনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কল্যাণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আর এসব উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশ উন্নত-সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে উঠবে।’