ফরিদপুরে বাবা হারুণ অর রশিদকে হত্যার দায়ে ছেলে মিলন চৌধুরীকে সশ্রম যাবজ্জীন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের যুগ্ম জেলা জজ এক নম্বর আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মিলন চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর পুলিশ প্রহরায় মিলন চৌধুরীকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিলন চৌধুরীর বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মিলন চৌধুরী তার বাবা কৃষক হারুণ অর রশিদের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী হালিমন বেগম বাদী হয়ে ছেলে মিলন চৌধুরীকে একমাত্র আসামি করে ওই দিনই নগরকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পর থেকে মিলন তার নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য বাবার ওপর চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু হারুণ জমি লিখে দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে মিলন বাবার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৬টার দিকে হারুণ অর রশিদ গোয়ালঘর থেকে গরু বের করছিলেন। ওই সময় মিলন চৌধুরী ঘুম থেকে উঠে বাবার সঙ্গে জমি লিখে দেয়া নিয়ে বচসায় লিপ্ত হন।
একপর্যায়ে মিলন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বাবা হারুণ অর রশিদের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে স্থানীয় কুঞ্জনগর বাজারে পল্লি চিকিৎসক পান্নু মিয়ার কাছে নিয়ে গেলে তিনি হারুণকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মামলা হলে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মিলনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান রায়ের পর সন্তোষ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’