বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৪৫

১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করে।

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি ১৯ জানুয়ারি হবে বলে দিন ঠিক করেছে আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন দুই সপ্তাহের সময় আবেদন করেন। পরে আদালত ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।

পরে আইনজীবী শাহীনুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের সেই আপিল খারিজ করে ২০১৬ সালের ২৪ মে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রিভিউ করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই রিভিউ শুনানির জন্য আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল।

এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করে। এ সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) হাইকোর্টে রিট করে। ওই রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।

রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই ধারাগুলো সংশোধনের আগে সরকারকে কয়েক দফা নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল আবেদনে বলা হয়, এ দুটি ধারা সংশ্লিষ্ট যে আইনে রয়েছে, তা যথেষ্ট ও সঠিক। এ জন্য আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই।রাষ্ট্রপক্ষের সেই আপিল শুনানির দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালে আপিলটি খারিজ করে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর