পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাই গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ বছর বয়সী রিকশাচালক মামুন হোসেন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারখালি মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত আনোয়ার উদ্দিন ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিনের ভাই।
আহতরা হলেন পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে রকি হোসেন ও বাবু হোসেনের ছেলে সুমন। তারা রাজমিস্ত্রি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারীপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনাচালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ সময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন, রকি ও সুমন দুই চালকের বাগবিতণ্ডা থামাতে যান। তারা বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে রহিমপুর গ্রামের ৪০ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। মীমাংসা করার সময় তাকে না ডাকায় মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
মামুনের মামা মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বাগবিতণ্ডার সময় আনোয়ার হোসেন নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভটভটির চাঁদা আদায়ের সঙ্গে যুক্ত। আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে ভটভটি চালকের পক্ষ নিয়ে লেগুনাচালক ও এলাকার লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার আবার এসে পিস্তল দিয়ে মামুন ও সুমনকে গুলি করেন ও আনোয়ারের সহযোগীরা রকিকে ছুরিকাঘাত করে। মামুনের তলপেটে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রহিমা ফেরদৌসী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মামুনের মৃত্যু হয়। সুমন ও রকিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে গ্লাস ভাঙা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের এরইমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।