বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে থমকে গেছে চুয়াডাঙ্গার কর্মচাঞ্চল্য

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:২১

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘গত তিন দিন থেকে চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকা পুরো কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। প্রচণ্ড কুয়াশার চাপ থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। বৃহস্পতিবার থেকে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে কাপছে চুয়াডাঙ্গা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

এ শীতে কষ্টে আছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে তাদের। এতে থমকে গেছে চুয়াডাঙ্গার কর্মচাঞ্চল্য। তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ।

হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। শীতে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের বীজতলা।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বড় বাজার এলাকার রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম জানান, খুব কুয়াশা আর বাতাস বইছে। এতে সকালে রিকশা নিয়ে বাইরে যেতে পারেননি। বাকিরাও খুব কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে কমে গেছে আয়।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরি খুব কুয়াশার চাপ। আমাদের ধানের চারা নষ্ট হয়ি যাচি (যাচ্ছে)। চারার আগা পুড়ি পচি (পচে) যাচি। চারা নষ্ট হয়ি গেলি আমরা ধান লাগাব কী করি?’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘গত তিন দিন থেকে চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকা পুরো কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। প্রচণ্ড কুয়াশার চাপ থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। বৃহস্পতিবার থেকে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

তিনি জানান, গত ১৪ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে টানা তিন দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। অর্থাৎ চলতি ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, যা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ ডিসেম্বর এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৯ ডিসেম্বর এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গত ডিসেম্বর মাসে চার দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর