তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
বীজতলা নষ্ট হলে বীজ সংকটে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। জেলায় বীজতলা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতার কৃষক আবু তাহের জানান, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় জমির বেশিরভাগ বীজতলার গাছ লালচে হয়ে গেছে। পাশাপাশি পোকার আক্রমণ রয়েছে।
এমন বাস্তবতায় আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ কৃষক।
জেলার রায়পুর উপজেলার চর কাচিয়ার কৃষক দুলাল জানান, পোকার আক্রমণে ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের মতো এত কুয়াশা আর পড়েনি।
এভাবে শীত ও ঘন কুয়াশা থাকলে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার কৃষক ওসমান গনি ও দিদার হোসেন জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। চারা লালচে হয়ে মরে যাচ্ছে। এভাবে কুয়াশা ও শীত পড়তে থাকলে বোরো আবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজের সংকট হবে।
কৃষকদের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন জানান, ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রভাবে কিছু বীজতলা নষ্ট হয়েছে। বীজতলা যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কৃষকরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় যেন বীজতলায় পানি দেন। সকালে ওই পানি বীজতলা থেকে নামিয়ে দিলে ক্ষতির শঙ্কা থাকে না।