সরকার বিভিন্ন উপায়ে খরচ বাড়াচ্ছে, এর প্রভাবে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ‘মানুষ না বুঝেই মেট্রোরেলে চড়ছে। তবে কিছুদিন পর আর মানুষ মেট্রোরেলে ওঠার শখ করবে না।
কারণ কোলকাতায় মেট্রেরেলে যে খরচ, বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক বেশি। এখন মানুষ বিনোদনের জন্য শিশু পার্কের মতো ঘুরছে। তবে কিছুদিন পর যখন খরচের বিষয়টি বুঝতে পারবে, তখন আর ওই ট্রেনে কেউ যাতায়াত করবে না।’
বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুরে নিজ বাসভবনে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম এমনভাবে বেড়েছে, যে শতকরা ১০০ জন মানুষ এর বিপক্ষে চলে গেছে। একটা সময় আসবে যখন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ থাকবে কিন্তু দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের মানুষ থাকবে না।’
টুকু আরো বলেন, ‘ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হানা দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ যেভাবে আমাদের প্রতিটি বিভাগীয় সমাবেশ ও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে তাতে প্রমাণ হয় জনগণ সর্বাত্মকভাবে আমাদের বিএনপির সঙ্গে আছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। মাঠ প্রশাসনকে দলীয় করণের মধ্যে দিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন মানুষ দেখেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১০ দফা দিয়েছি, সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কেন দিতে হবে তা ১০ দফার মধ্যে উল্লেখ আছে। এছাড়া ২৭ দফা দিয়েছি রাষ্ট্রকে মেরামত করতে। বর্তমান সরকার যে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে, সেটা মেরামত করার জন্যই আমাদের ২৭ দফা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমাদের কী দেবে এই প্রশ্ন জনগণের মনে আছে, সেই প্রশ্নের উত্তর এই ২৭ দফায় আছে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা, সহযোগী সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ থানা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকেরা অংশ নেন।