বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওদুদের ভয় ষড়যন্ত্র

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:১৮

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে হয় সমাবেশও। সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) সমাবেশে শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলসহ কয়েকজন বলেন, নৌকার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। শিমুল বলেন, ‘আবদুল ওদুদ শেখ হাসিনার প্রতিনিধি, আগে কী করছেন ভুলে যান, কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। নৌকার বিজয় হবেই।’ পরে ওদুদ বলেন বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েই নৌকার বিজয় হবে।’

বিএনপির পদত্যাগে শূন্য হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওদুদ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কে এবং কারা ষড়যন্ত্র করবে, এই বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারির ভোটে অংশ নিতে বুধবার রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন নৌকা পেতে যাওয়া ওদুদ।

২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয় পান বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ। হেরে যান ওদুদ, যিনি এককালে ছিলেন বিএনপিরই নেতা।

প্রার্থিতা জমা দেয়ার আগে বিধি অমান্য করে ওদুদ করেন শোডাউন। মিছিল নিয়ে আসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে হয় সমাবেশও। সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) সমাবেশে শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলসহ কয়েকজন বলেন, নৌকার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

শিমুল বলেন, ‘আবদুল ওদুদ শেখ হাসিনার প্রতিনিধি, আগে কী করছেন ভুলে যান, কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। নৌকার বিজয় হবেই।’

পরে ওদুদ বলেন বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েই নৌকার বিজয় হবে।’

কারা ষড়যন্ত্র করছে এমন প্রশ্নে তিনি জবাব দেননি। দলের ভেতরের কেউ ষড়যন্ত্রে আছে কি না, এমন প্রশ্নে বলেন, ‘যদি প্রমাণ হয়, তবে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সদর আসনটি ১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ জয় পায় ওদুদের হাত ধরেই। তিনি বিএনপি থেকে এসে বাজিমাত করেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে।

এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ ওই আসনে প্রথম নির্বাচনে জামানত হারায় আওয়ামী লীগ। ভোটের হিসাবে তলানিতে থাকা দলটি প্রতিটি নির্বাচনে ভোট বাড়িয়ে ২০০৮ সালে তুলে নেয় জয়। ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনুপস্থিতিতে আবার সংসদ সদস্য হন ওদুদ।

২০১৮ সালে সারা দেশে ভূমিধস জয় পেলেও এই জেলার তিন আসনের দুটিতেই হেরে যায় আওয়ামী লীগ। ধানের শীষ নিয়ে হারুন পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬১ ভোট। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতের সমঝোতা হয়নি। দলটির নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল ৫৯ হাজার ৫৭০ ভোট পেলেও আওয়ামী লীগ হারে ৪৭ হাজার ৭২৩ ভোটে। নৌকা পায় ৮৫ হাজার ৯৩৮ ভোট।

উপনির্বাচনে ওদুদের সামনে দৃশ্যত তেমন বাধা নেই। জাতীয় পার্টি সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করেছে মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে। তবে দলটির সেখানে অবস্থান খুবই দুর্বল।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজার রহমান কনক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম শাহনেওয়াজ অপু, শহিদুল হুদা অলক, জিয়াউর রহমান তোতাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর