ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অভিযানে দখলমুক্ত হওয়া খাল আবার বেদখল হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেছেন, এটা দুঃখজনক।
বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েসংলগ্ন খালের পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র তাপস।
এই খালটির দুই তীরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছিল সিটি করপোরেশন। তবে দখলদাররা ফিরে আসতে সময় নেয়নি।
মেয়র বলেন, ‘যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখানকার দখলদারিত্ব সম্পর্কে আমরা পত্রিকার দেখেছিলাম। পত্রিকায় দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিন্তু পুরোটাই দখলমুক্ত করেছি।
‘দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ আমরা নিশ্চিত করেছিলাম। কিন্তু আজকে যখন আবার মাত্র ছয় মাস পরে আমরা এখানে এলাম, তখন দেখছি তারা এখানে স্থায়ীভাবে দখল করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এটাকে আবারও দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েসংলগ্ন খালের পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: নিউজবাংলা
তাপস বলেন, ‘নর্দমাগুলো ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে গ্রহণ করার পর থেকে বার্ষিক সূচি করে বছরের প্রথম থেকেই (জানুয়ারি মাস থেকে) আমরা খালগুলো পরিষ্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকি। এ বছরের সে কার্যক্রম আজ থেকে এখান থেকে আমরা শুরু করছি। কিন্তু খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন থেকে আমরা এখনও মুক্ত হতে পারছি না।
‘দখল এবং ভূমিদস্যুদের যে আগ্রাসন, এসব কার্যক্রম আমাদের ব্যাহত করছে। আমরা প্রতিনিয়তই এর বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’
সিটি করপোরেশন কি এদের কাছে অসহায় কি না, এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘আমরা তো যথাযথ জরিমানা করছি। কিন্তু তারপরও আসলে যারা ভূমিদস্য তারা নিবৃত্ত হয় না। যেখানেই যেটা অবৈধ দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। দখলমুক্ত করছি, জরিমানা করছি।’
এরপর শেখ ফজলে নূর তাপস ৩৯ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম এবং ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা এলাকায় প্রান্তিক জনগণের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ অন্যরাও এ সময় উপস্থিত।