বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিডিয়ার কারণে পাত্তা পাচ্ছে বিদেশিরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা বন্ধ করেন। আপনারা কাভারেজ বন্ধ করলে তারা ঘরে বসে থাকবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়, তারা নিজেদের এই দেশের রাজা মনে করে।’

মিডিয়ার কাভারেজের কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সিলেটের ইপিআই ভবনে সিভিল সার্জনের কার্যালয় আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বিদেশিদের নিয়ে মিডিয়াকে হইচই না করার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা বন্ধ করেন। আপনারা কাভারেজ বন্ধ করলে তারা ঘরে বসে থাকবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়, তারা নিজেদের এই দেশের রাজা মনে করে।’

বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন।

তিনি বলেন, ‘এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা ও ৪৫টা টেলিভিশন আছে। অনেকগুলো সাময়িকী আছে। আর কোথায় এমন আছে?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত, তারা আমাদের মাঝেমধ্যে যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক। বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে এদেশের মানুষ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই দেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য এত লোক পৃথিবীর আর কোথাও রক্ত দেয়নি। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। অথচ তারা আসছে আমাদের মানবাধিকার আর গণতন্ত্র বোঝাতে।’

এ দেশে নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০% লোক ভোট দেয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশে ২৫-৩০% লোকও ভোট দেয় না। সেসব দেশে নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ এদেশে একেকটি পদে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর তারা কী বড় বড় বকবক করে। নিজের দিকে তাকায় না কেন?’

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে যে কত উন্নয়ন হচ্ছে তা আমরা টের পাচ্ছি না। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার ফলে দেশে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে তা প্রায় ৮৬ শতাংশ ছিল। এর মধ্যে সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল। এগুলো অনেক কমে এসেছে।’

আজকের মতবিনিময় সভায় সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমাদের মোট ২৪টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা করছি দ্রুতই এগুলো পেয়ে যাব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। আমরা দারিদ্রতা অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমরা উন্নতি করছি তাই অনেকের চোখে পড়ছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। এখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু লোকজন চায় না শান্তি হোক। কারণ অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হয়। এ জন্য বিভিস্ন লোকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। অনেক বিরোধী দল দেশে উন্নতি চায় না বলে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

তারা নিজের পা কেটে হলেও দেশের ক্ষতি করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন এসএম শাহরিয়ারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর