সংবিধান মেনেই দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সফররত যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টরি গ্রুপের চার এমপির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন চার ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী, জনাথন রেনল্ডস, মোহাম্মদ ইয়াসিন ও টম হান্ট। তাদের এ সাক্ষাতে বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন অনেক স্বাধীন। আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
‘রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করত। এরপর রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে আসত।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ব্রিটিশ এমপিদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিভিন্নভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় ও ভোজ্যতেল ইউক্রেন থেকে আসত, কিন্তু যুদ্ধের কারণে এসব পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দাম বাড়ছে।’
বাংলাদেশের যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, তাতে যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষ করে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন ব্রিটিশ এমপিরা।
ব্রিটেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে তারা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।’
এমপিদের মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।