নাশকতার মামলায় ৬ মাসের জামিনপ্রাপ্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিতে আদালতে আবেদন নতুন কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এটা অহরহ হয়ে থাকে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউটে বুধবার এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে আইন মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করছে এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের কাজে আইন মন্ত্রণালয় তো নিশ্চয় না, কোনো মন্ত্রণালয়ই হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করে জামিন দেয়া যাবে, তাহলে দিয়েছে। আদালত যদি মনে করে দেয়া যাবে না, দেয়নি।’
‘এটা অহরহ হয়ে থাকে, নিম্ন আদালত জামিন দেয়নি উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছে, আবার এমনও হয় নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত তা আটকিয়ে দিয়েছে। এটা নতুন কিছু না বাংলাদেশে। এটা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তারা হয়তো জাতীয় পার্টি- বিএনপি আমল দেখেননি বা দেখলেও সেট তারা বলতে চাচ্ছেন না।’
বিএনপির গত ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশের আগে ৮ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উত্তরার বাসায় ফিরলে গভীর রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। কাছাকাছি সময়ে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকে। দুইজনকেই আগের দিন নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে বুধবার সকালে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জামিন শুনানি দুই সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ৬ মাসের জামিন দেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সংবিধান সংশোধনের এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন বা পাল্টানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে। যেহেতু তিনি (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) দুই টার্ম থেকেছেন, সংবিধান অনুসারে তিনি আর থাকতে পারবেন না। সেহেতু নতুন একজন নির্বাচিত হবেন।’