গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রনজু।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই সাঘাটা উপজেলার ফলিয়া দীঘর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন মাহমুদ হাসান রিপন। এ ছাড়া বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভোট দেন জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রনজু।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) সকাল ৯টার দিকে বাজিতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে মাহবুর রহমান (ট্রাক) নির্বাচনি এলাকার ভোটার নন এবং অপর প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
ভোট দেয়া শেষে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাঘাটা-ফুলছড়িবাসীর মধ্যে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি এ অঞ্চলের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।’
এদিকে প্রশাসনের তৎপরতায় সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে বলে জানান জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রনজু। তিনি বলেন, ‘ভোট দেয়া নিয়ে মানুষের মাঝে যেমন শঙ্কা আছে তেমনি আমিসহ আমার নেতা-কর্মীদেরও শঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশাসনসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানাব, দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ যেন সুষ্ঠু পরিবেশেই হয়। জনগণ সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে লাঙলের জয় সুনিশ্চিত।’
বুধবার সকাল থেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। তবে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে বাড়তে থাকে ভোটারের উপস্থিতি।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে ইসি।
অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত শেষে ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।