চরম অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ফের ভোটে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার সিসিটিভি মনিটরিং কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে গাইবান্ধায়। ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসানো সিসিটিভিতে ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন ইসির কর্মকর্তারা।
ভোটের মাঝে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘গাইবান্ধার ভোটকেন্দ্রে ডাকাত নাই। আমরা এ পর্যন্ত ডাকাত দেখি নাই। অন্য লোকের উপস্থিতি আমাদের চোখে পড়ে নাই।’
তিনি জানান, ভোট শুরু হওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটর করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টিতে ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই সব কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন। এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তদন্ত কমিটি করা হয়।
গত জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে পুনঃভোট চলছে। ১৪৫টি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সকালে থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। সাড়ে আটটা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) একযোগে (ভোট) শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ইভিএমে ভোট নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। ভোট আমাদের দেখা মতে ভালো হচ্ছে। সুন্দর হচ্ছে এ পর্যন্ত।
‘কোনো অনিয়ম নাই। গতবার যে সিচুয়েশন দেখতে পারছিলাম, এবার সে রকম সিচুয়েশন নাই।’
ভোটার উপস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশের মতো ভোট কাস্ট হয়েছে। আজকে প্রচণ্ড শীত। দুর্গম চরাঞ্চলে ৩২টা কেন্দ্র। এ ছাড়াও শীতের জন্য উপস্থিতি এখন একটু কম, তবে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’