বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্ণফুলী তীরে বিপুল কয়লা মজুত, জেল-জরিমানা

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫৯

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘আটক আলামিন কয়লা মজুতের জন্য অনুমতি, পরিবেশ অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও কয়লার মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে প্রায় ১১ হাজার টন কয়লা মজুতের দায়ে সাহারা এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ডিপো ইনচার্জকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে নদীর দক্ষিণ তীরে পুরোনো ব্রিজঘাট এলাকায় অভিযানে যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

তিনি জানান, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে পুরোনো ব্রিজঘাট এলাকায় অভিযানে গিয়ে অবৈধভাবে মজুত প্রায় ১১ হাজার টন কয়লা পাওয়া যায়। এ সময় কয়লা ডিপোর ইনচার্জ মো. আলামিনকে আটক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘আটক আলামিন কয়লা মজুতের জন্য অনুমতি, পরিবেশ অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও কয়লার মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

মজুত বিপুল পরিমাণ কয়লা এক সপ্তাহের মধ্যে নদীর তীর থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এই বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘নদীর তীরে অবৈধভাবে কয়লা মজুত করে পরিবেশের ক্ষতি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ, এতে আগুন ধরে যেতে পারে। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় এবং সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকায় কয়লাগুলোতে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এসব কয়লায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে। নদীর তীর থেকে কয়লাগুলো দ্রুত অপসারণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় এ রকম অভিযান নিয়মিত চলবে।’

জেলা প্রশাসনের এই অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

এ বিভাগের আরো খবর