বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্য করায় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বিরক্তি প্রকাশের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিদেশিদের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বিদেশিদের কথা বলাই উচিত।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি এবং ‘রাষ্ট্র মেরামতে’ ঘোষণা করা ২৭ দফা রূপরেখা নিয়ে মঙ্গলবার জামালপুর বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। দলটির জেলা কার্যালয়ের পাশের একটি ভবনে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতার দাবি, তাদের এই রূপরেখা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এটা দেয়ার পরপর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এটার বিরুদ্ধে বলার মতো কিছুই বের করতে পারেনি তারা। এটার বিরুদ্ধে বলার ভাষাই খুঁজে পায়নি ক্ষমতাসীনরা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব দেশে কর্তৃত্বপরায়ণ ফ্যাসিস্ট সরকার থাকে, সেসব দেশে কথা বলে বিদেশিরা। বাংলাদেশের বিষয়ে বিদেশিরা কথা বলছে এবং বলবে। আওয়ামী লীগের পছন্দ হলেও বলবে না হলেও বলবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠেছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘পকেটের মানুষ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ নেই। আর এই পকেটের মানুষরা প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে যা বলে তাই করে। আইনমন্ত্রীর অফিস থেকে যা বলে তাই করে। এ ছাড়াও বর্তমান সংসদে ৬৫ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বেশির ভাগ দুর্নীতিবাজ, চোর।
‘এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ব্যাংক দখল করেছে, অর্থ পাচার করেছে, শেয়ারবাজার দখল করেছে। এসবের জন্য বর্তমানে অর্থনীতির দুরবস্থা। গণমাধ্যমে সরকারের যে হস্তক্ষেপ সেই হস্তক্ষেপের কারণে সাংবাদিকরা বিএনপির খবর দেখাতে পারে না। লাইভ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখাটি বিএনপির আন্দোলনের অংশ। তাই এটি জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু।