এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানার মামলায় জামিন পেয়েছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল হাসান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ওই মামলায় ওনারা এতদিন উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর আজ আদালত নিয়মিত জামিন মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে সোমবার বাবুল আক্তার ও অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতা ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় জামিন পান বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
গত ১৭ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
চটগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানায় করা ওই মামলায় বাবুলের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ছোট ভাই হাবিবুর রহমান লাবুকেও আসামি করা হয়।
এই মামলায় ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আব্দুল হালিম তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাবুল, ইলিয়াস, ওয়াদুদ মিয়া ও লাবুকে আসামি করে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় একই অভিযোগে মামলা করেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ওই মামলায় ১০ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুলের করা মামলায় তাকেসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। পরে ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে।
আদালতে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র জমা দেয়ার আগে ৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্ত নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ইলিয়াস হোসেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ও পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোর প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানাসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। নানা ঘটনার পর বাবুলকে প্রধান আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।