বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি আজ বেলা ২টায়।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানির সময় ঠিক করে দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি গ্রাউন্ডে জামিন চেয়ে আমরা আবেদন করেছি। আদালতে আজকে (মঙ্গলবার) বেলা ২টায় শুনানি হবে।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘যে মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আটক দেখানো হয়েছে, সে মামলায় এফআইআরে তাদের নাম নাই। তাদের বয়স বিবেচনা, শারীরিক অসুস্থতা, সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে।’
গতকাল দুই মির্জার পক্ষে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কামরুল ইসলাম সজল, সগীর হোসেন লিওনসহ বিএনপির আইনজীবীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তিনবার নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)।
এরপরই হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আজকে আবেদন করেন বিএনপির আইনজীবীরা।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই দিন সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। পরে এ ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের।
৮ ডিসেম্বর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।