শেরপুরে বই উৎসবের দিনে টাকা ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের বই না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভারেরা ছমিরুদ্দীন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত ১ জানুয়ারি দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর চড়াও হওয়ারও অভিযোগ আছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ভর্তি ও সেশন চার্জের নামে ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। টাকা না দিতে পারায় বই ছাড়াই ফিরে যেতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকে।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপু বলেন, ‘গতকাল ৩০০ টাকা নিয়ে স্কুলে আসছিলাম। কিন্তু স্যাররা বই দেননি। ৫০০ টাকা না দিলে তারা বই দেবেন না।’ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া বলেন, ‘আমি ভর্তি ফি আর সেশনের টাকাসহ ৭০০ টাকা দিয়েছি। গতকাল বই নেয়ার সময় আরও ৫০০ টাকা চাইছে। পরে বই ছাড়াই বাড়িতে চলে এসেছি।’
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যও কোনো ছাড় দেয়া হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে।
অভিভাবক সুজন মিয়া বলেন, ‘গ্রামের স্কুলে এক ছাত্রের জন্যই যদি আমার ১৫০০ টাকা দেয়া লাগে, তাহলে আর পড়াশোনার দরকার নাই।’স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও অভিভাবক রুবেল মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে ফিরে যাওয়াটা দুঃখজনক। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যও কোনো ছাড় দেয়া হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে।’
শ্রীবরদী ভারেরা ছমিরুদ্দীন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষিক মোছা. কামরুন্নাহার বলেন, ‘এই ঘটনা সাজানো ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটা মহল আমার স্কুলের দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করছে। আমরা ভর্তি ফি আর সেশন চার্জের বাইরে এক টাকাও নেই না।’
শেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান বলেন, ‘বিনামূল্যে বই দেয়ার সঙ্গে টাকার সম্পর্ক নেই। কোনো পাওনা থাকলে তারা বই উৎসবের আগে বা পরে নেবে। যে অভিযোগ এসেছে, তার প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’