জামান মিয়াকে একজন ভদ্রবেশী প্রতারক আখ্যা দিয়েছে র্যাব। ভূমিহীন ও দুস্থদের টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ ফেলতেন তিনি। এ ক্ষেত্রে টোপ হিসেবে ভুক্তভোগীদের কাছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলতেন তিনি। হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহে র্যাব-১৪ সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেল করে প্রতারক জামান মিয়ার এসব কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন উপ-অধিনায়ক মেজর শিশির মাহমুদ তালুকদার।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বাড়ারপাড় এলাকা থেকে জামানকে আটক করা হয়। ৩৯ বছর জামান জেলার সদর বাড়ারপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
উপ-অধিনায়ক মেজর শিশির মাহমুদ তালুকদার জানান, আনুমানিক ৬ বছর আগে সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায় চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করে সুমন নামে একজনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পাইয়ে দেন জামান। এ জন্য তিনি সুমনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকাও নেন। পরে বিষয়টিকে প্রতারণার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন তিনি।
এ ঘটনার পর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জামান।
এর মধ্যে ২০১৯ সালে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের ভূমিহীন ও দুস্থদের তিনি টার্গেট করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ইট, বালু ও সিমেন্টের কথা বলে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন তিনি। এভাবে ৪২ জনের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
র্যাব-১৪ এর উপ-অধিনায়ক বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ঘর না পেয়ে জামানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করায় জামানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।