অবশেষে নলকূপ অপারেটরের চাকরি ছাড়লেন নওগাঁর পুলিশ কনস্টেবল মানিক আলী। তিনি পুলিশের চাকরি পাশাপাশি ৯ বছর ধরে রাজশাহীর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর পদেও চাকরি করে আসছিলেন।
কাগজ-কলমে রাজশাহীর পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়ণপুরে গভীর নলকূপের অপারেটর পদে চাকরি করলেও পুলিশ কনস্টেবল মানিক আলী কাজটি করাতেন অন্যজনকে দিয়ে। এ নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর নিউজবাংলায় ‘নওগাঁয় কনস্টেবল, রাজশাহীতে নলকূপ অপারেটর’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়।
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন বিএমডিএ-এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ। তবে এরই মধ্যে অপারেটর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিএমডিএ বরাবরে আবেদন করেছেন পুলিশ সদস্য মানিক আলী।
বিএমডিএ সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে তিনি বিএমডিএ গোদাগাড়ী জোন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসান বরাবর এই আবেদন করেন। সেখানে তিনি বর্তমান চাকরির জন্য ওই চাকরি করতে পারছেন না জানিয়ে অব্যাহতি চেয়েছেন।
আবেদনে মানিক লিখেছেন, ‘আমি নারায়ণপুর-২, জেএল নং-৮৪, দাগ নং-৭৫ এর অপারেটর ছিলাম। বর্তমানে আমার চাকরির কারণে অপারেটরের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য অপারেটর পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি।’
সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মানিকের অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের তথ্য সঠিক বলে জানিয়েছেন। তবে কবে তিনি এই আবেদন করেছেন বা মানিককে অব্যাহতি দিয়ে ওই পদে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে পুলিশ সদস্য ও বিএমডিএ-এর নলকূপ অপারেটর থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাকে সেখান থেকে বাদ দেয়ার জন্য আমরা বলেছি। তবে তিনি নিজেই চাকরি ছেড়ে দেয়ার আবেদন করলে ভালো।’
প্রসঙ্গত, মানিক আলী ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে ঢাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, এরপর রাজশাহী জেলা পুলিশে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তিনি নওগাঁ জেলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত।
এর আগে ২০০৯ সালে মানিক বিএমডিএ-এর গভীর নলকূপ অপারেটর হিসেবে যোগ দেন। এরপর পুলিশে চাকরি পেলেও অপারেটরের চাকরিটি তিনি ছাড়েননি। তিনি নিজে উপস্থিত না থেকে শরীফ আলী নামে একজনকে দিয়ে নলকূপ অপারেটরের কাজ করিয়ে আসছিলেন।