নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুলিশ ও সাংবাদিকও রয়েছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজানগোপিন্দি ও বিনাইরচর গ্রামে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিকসহ তিন গ্রামবাসীকে আড়াইহাজার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ছোট বিনাইরচর গ্রামের মিথুন নামে এক যুবক স্মার্টকার্ড আনতে যায় উজানগোপিন্দি উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিথুন উজানগোপিন্দি গ্রামের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয়গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। তবে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ৮ রাউন্ড (রাবার বুলেট) ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে আহত স্থানীয় সাংবাদিক শাহজাহান কবির বলেন, ‘এর আগে গেল শুক্রবার স্থানীয় এক ওয়াজ মাহফিলে ছোট বিনাইরচর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে উজানগোপিন্দি গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গত তিন দিন ধরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এর মধ্যেই সোমবার আরেক যুবককে মারধর করা হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়।’
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘আড়াইহাজার থানার পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার আড়াইহাজার প্রতিনিধি শাহজাহান কবিরসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহিমকে আটক করেছে পুলিশ।’
সংর্ঘের ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানান তিনি।