কিশোরগঞ্জে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কর্মচারীদের যোগসাজসে রাতের আঁধারে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দাবি এ বিষয়ে তারা অবগত নন৷
এর আগে, ২৯ ডিসেম্বর রাতে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, ‘নতুন জেলখানা সংলগ্ন এলাকায় পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া আমাদের সাড়ে ৪৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ জমিতে অংশীদারদের তিনটি দোকান রয়েছে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গত বছর ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ পাওয়ার পর জমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন মালিকরা। পরে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ডাকা হয়। সেখানেও জমি দিতে অপারগতার কথা জানান মালিকরা।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এ অবস্থায় গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কালেক্টরেটের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে মারিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল, একই এলাকার রাসেল, আঙুর মিয়া, বাক্বার, আলাল মিয়া, কাদির, শাহজাহানসহ অজ্ঞাত বেশকিছু লোক এস্কাভেটরের সাহায্যে ওই জমিতে স্থাপিত তিনটি দোকান ভেঙে দেয়। এ সময় মালামালও লুট করা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়রা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
আর কালেক্টরেটের এলএ শাখার সার্ভেয়ার মো. মহসিন ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াই এখনও সম্পন্ন হয়নি। তাই তাদের দ্বারা স্থাপনা ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না। ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।