বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে ‘আব্বা’ ডাকিয়ে ভিডিও ধারণ

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৩

বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ‘দেলোয়ার গাজীকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলার জন্য আসেনি।’

বরগুনা সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন গাজীকে মারধর করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় বাপ্পি ও হাসিব নামে দুই তরুণের নেতৃত্বে চালিতাতলী বাজার থেকে ৪৮ বছর বয়সী দেলোয়ারকে ডেকে একটি মাঠে নিয়ে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে ‘আব্বা’ ডাকতেও বাধ্য করা হয়।

নিউজবাংলার হাতে আসা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দেলোয়ারকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েক তরুণ। এর মধ্যে একজন একটি পাইপ দিয়ে তার শরীরে আঘাত করছে।

এ সময় ‘বাপ্পি আমারে আর মারিস না’ বলে দেলোয়ারের আকুতি শোনা যায়। তবে বাপ্পি নামের ওই যুবক দেলোয়ারের কাছে ‘আব্বা’ ডাক শুনতে চায়। মারধর থেকে রেহাই পেতে দেলোয়ার এ সময় বাপ্পিকে আব্বা ডাকেন।

মারধরের শিকার শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার জানান, ইউনিয়নের উড়বুনিয়া এলাকার বিন্দু চৌকিদারের ছেলে বাপ্পি ও একই এলাকার বাদল চৌকিদারের ছেলে হাসিবের নেতৃত্বে চালিতাতলীতে একটি বেপরোয়া গ্যাং সক্রিয়। মাদক সেবন ও ব্যবসার পাশাপাশি ছিনতাই চাঁদাবাজি ইভটিজিংসহ নানা অপরাধে জড়িত ওই বাপ্পি-হাসিব গ্রুপ।

অভিযুক্ত বাপ্পি-হাসিব গ্রুপের বাপ্পি

দেলোয়ার বলেন, ‘এরা পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনতাই করে। আমি এসবের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল (রোববার) রাত ৮টার দিকে বাজার থেকে কথা বলার জন্য পাশের একটি মাঠে নিয়ে যায় বাপ্পি, হাসিবসহ ৭/৮ জন। পরে তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে এলাকা ছেড়ে দিতে বলে।’

বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বরিশালে অবস্থান করছেন দেলোয়ার। সুস্থ হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে সুমন নামে আরেক তরুণকে একই কায়দায় চালিতাতলী নদীর পাড়ে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছিল বাপ্পি-হাসিব গ্রুপ। সে সময় সুমনকেও কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে ভিডিও ধারণ করে গ্যাংটি। সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজও নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

একই গ্রুপের মারধরের শিকার হয়েছিলেন স্থানীয় যুবক সুমন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া

মারধরের শিকার চালিতাতলী এলাকার সুমন জানান, বাপ্পি ও হাসিবের অপরাধের প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় একটি মামলাও করেছিলেন সুমন। কিন্ত এখনও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ‘দেলোয়ার গাজীকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলার জন্য আসেনি। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

এ ছাড়া সুমনের মামলার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

এ বিভাগের আরো খবর