চাকরিচ্যুত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতা ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। পরে বিচারক জানান, পুলিশ প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবেন। আগামী ১২ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বনজ কুমার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি করেন রাজধানীর ধানমন্ডি থানায়।
এজাহারে বনজ বলেন, তার নেতৃত্বে পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করেছে। তদন্তে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হন। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। কিন্তু থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও প্রকাশ করেন। ইলিয়াসের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হয় ও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়।
মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার।
আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরের বিরুদ্ধে আনা হয় অভিযোগ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। নানা ঘটনার পর বাবুলকে প্রধান আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।