বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করা হলে আদালত মঙ্গলবার এর ওপর শুনানির দিন ঠিক করে দেয়।
দুই মির্জার পক্ষে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কামরুল ইসলাম সজল, সগীর হোসেন লিওনসহ বিএনপির আইনজীবীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন নাকচ করে। এর আগেও তিনবার জামিন আবেদন নাকচ হয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে।
এরপরই হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হলো সোমবার।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
পরে এ ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের।
এরপর ৮ ডিসেম্বর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুল ও আব্বাসকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর বিএনপির এ দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। পরে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।