গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি হাতি মারা গেছে। অন্য হাতির সঙ্গে ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে হাতিটি মারা গেছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
২১ ডিসেম্বর পার্কের ভেতরে হাতিশালায় হাতিটির মৃত্যু হলেও বিষয়টি পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে এত দিন জানায়নি।
রোববার সন্ধ্যায় পার্কের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘হাতিটির বয়স হয়েছিল ৪৭-৪৮ বছর। অনেকটা দুর্বল প্রকৃতির ছিল হাতিটি। ওই দিন হাতিশালার অন্য একটি হাতি ওই হাতিকে ধাক্কা দিয়ে পিলারের ওপর ফেলে দেয়। এতে গুরুতর আঘাত পায় এটি। এর কিছু সময় পরই হাতিটির মৃত্যু হয়।
‘হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ছাড়াও হাতি মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাতিদের মধ্যে মারামারির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান বলেন, ‘মৃত হাতিটি পুরুষ ছিল। সাফারি পার্কে মোট ৯টি হাতি ছিল। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ২টি মাদি। এখন হাতির সংখ্যা ৮টিতে দাঁড়াল।’
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।