বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনগণ রাস্তায় নেমেছে, সরকারের রেহাই নেই: মোশাররফ

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:০৮

মোশাররফ বলেন- আওয়ামী লীগ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে দেখতে চায় না- বিএনপি গণসমাবেশ সফলের মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই দিয়েছে।

এ বছরই সরকারকে বিদায় করে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে, সরকারের আর রেহাই নেই। ১০ দফা বাস্তবায়ন করে খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং সরকারকে বিদায় করাই এখন বিএনপির চ্যালেঞ্জ।’

রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, ‘ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়ন বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা বাস্তবায়নে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্রদলকে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্ধকার কেটে যাবে, আলোর পথে বাংলাদেশ। যুগপৎ আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি করা হবে।’

মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপশাসনে দেশের মানুষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তারা সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না। জনগণ এই সরকারকে দেখতে চায় না- বিএনপি গণসমাবেশ সফলের মধ্য দিয়ে সেই বার্তা দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সহজে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে না, তাদের বাধ্য করতে হবে। বিএনপি এজন্য রাজপথকেই বেছে নিয়েছে। সরকারকে বিদায় করা ছাড়া বিকল্প নেই। ছাত্র-যুবসমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে বিদায় করতে হবে। ছাত্রদলকে তার নেতৃত্ব দিতে হবে।’

মোশাররফ বলেন, ‘সরকার যতই নির্যাতন করুক, নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করুক, আন্দোলন দমানো যাবে না।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি সিন্ডিকেটের লোকজন পকেট ভর্তি করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারের অবৈধ নির্দেশ মানার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য তাদের ওপর বিদেশি নিষেধাজ্ঞাও এসেছে।’

ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘রক্ত দেয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও আরও দেয়া হবে। বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে নতুন বছরে, মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানায় থাকতে হবে। তবে ২০২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এ বছর মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর ফয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০-এর মতো গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে। হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।’

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২৩ সালে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো. ইয়াহিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, রাজিব আহসান, ফজলুর রহমান খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল ও ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর