বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মে মাসে সীমানা নির্ধারণ, জুনে নিবন্ধন পাবে নতুন দল

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২০

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন- গত সপ্তাহেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, আশা করি সবাই ভোটে আসবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ করতে চায় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। পাশাপাশি নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া জুনের মধ্যে শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। আর চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবছে কমিশন।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‌‘মে মাসের মধ্যেই সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায় কমিশন। এ জন্য জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন চেয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা যদি ওটা জুনের পরে করে তাহলে তো সেটা আমলে নেয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে বর্তমানে যে অবস্থা আছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে খুব বেশি আসনের প্রস্তাব আমরা পাইনি। যেগুলো পেয়েছি সেগুলোর ওপর কাজ শুরু করেছি।’

নতুন দলের নিবন্ধনের কাজও জুনের মধ্যে করে ফেলার আশা প্রকাশ করে আনিছুর রহমান বলেন, ‘কাজের সময় হাঁটলে আমাদের হবে না, দৌড়াতে হবে। আমরা প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করি। এছাড়া ভোটের প্রশিক্ষণও চলছে, চলবে।’

কমিশনার আনিছুর আরও বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আশাকরি যে আইন সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ের থেকে কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে। আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন- কাজ প্রায় শেষের দিকে। এক্ষেত্রে আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আইন সংশোধনের কাজ শেষ করতে পারবো।’

২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপর ভোটকেন্দ্রের কাজে হাত দেবো। সীমানা পুর্নির্নিধারণ হলে আগস্টের মধ্যে কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে। তবে সব শেষ করতে হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।’

নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্প নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ বিষয়ের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এখন যাই হোক ইভিএম প্রকল্প দ্রুত পাস হওয়া উচিত। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে কাজ খুব ডিফকাল্ট হয়ে যাবে। আর ইভিএমের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে হাতে যা আছে তা দিয়ে যতটুকু সম্ভব কাভার করা হবে। বাকি আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করবো।’

রোডম্যাপ অনুযায়ী বর্তমান কমিশন পিছিয়ে নেই বলে মনে করেন এই কমিশনার।তিনি বলেন, ‘রোডম্যাপে আমরা পিছিয়ে নেই। সবকিছু সময় অনুযায়ী হচ্ছে।’

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের বিলম্বের কারণ খুঁজতে বর্তমান কমিশন আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহে বসবো। সাংবাদিক যারা ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাদের আমন্ত্রণ জানাবো। সঙ্গে যারা পর্যবেক্ষক ছিলেন তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও থাকবেন।’নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, গত সপ্তাহেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের না। কোনো দল বা কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব কমিশনের নয়। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, আশা করি সবাই ভোটে আসবে।

নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা করবো। কাজেই কেউ না যদি আসে, তাদের আনার জন্য আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। আশা করছি যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’

বিএনপি আবারো বর্জন করলে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো ভোটের অনেক সময় আছে। অংশ না নিলে তখন বলা যাবে। এত আগ বাড়িয়ে বলার সুযোগ নেই। আমরা ওইভাবে হয়তো আর বসবো না। আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই সংলাপের।’

দলগুলো নির্বাচন আসবে এটাই কাম্য বলে জানিয়ে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘তারা আমাদের অধীনে একটা নির্বাচনেও অংশ নেয়নি। অংশ নিয়ে বলুক যে ভোট সুষ্ঠু হয়নি। তারা ডে ওয়ান থেকেই তো আমাদেন মানছেন না। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াই নাকি স্বচ্ছ হয়নি। আইনের আওতায় প্রথম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারপরও বলা হচ্ছে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়নি। আমাদেরতো কিছু করার নেই।’

দায়িত্ব নেয়ার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা ছিল কমিশনের এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘কোনো রকমের অনিয়ম যেটা হয়েছে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। গাইবান্ধায় ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, দু'দিন পর পুনরায় নির্বাচন হবে। আমাদের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন গ্রহণযোগ্যতা, অযোগ্যতা যেটাই হোক; আমরা তো আমাদেরটা বিবেচনা করতে পারবো না। পাবলিক পারসেপশন যদি হয় অগ্রহণযোগ্য সেটা খুঁজে দেখতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর