বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:২৪

‘২০১৩ সালেও এই ধরনের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালেও তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রী ও তার অভিভাবকের কাছে মাফ চেয়ে পার পান তিনি। পুলিশ লাইনস স্কুলে এই ধরনের অভিযোগ ওঠার পর এলাকাবাসী তাকে উত্তমমধ্যম দিয়েছিল।’

চট্টগ্রামে যৌন হয়রানির অভিযোগে সিটি করপোরেশনের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে জুতা নিক্ষেপ করেছে ছাত্রীরা। তার প্রত্যাহার চেয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভও করে তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন অভিভাবকরাও।

রোববার নগরীর চকবাজার এলাকায় কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে অবরুদ্ধ থাকেন প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন। সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে বিক্ষোভ স্থগিত করে ছাত্রীরা।

পরে আলাউদ্দিন বের হন পুলিশ প্রহরায়। ২০১৩ সালেও একই ধরনের অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল তাকে।

সেই শিক্ষকের অভিযোগ, ভর্তি বাণিজ্য চালাতে না পেরে কিছু রাজনৈতিক লোক ও অভিভাবক তাকে হেনস্তা করেছে।

তবে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। আর তার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থাও নেয়া হয়। এবারও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জানিয়েছেন, এই শিক্ষককে আর স্কুলে আসতে দেয়া হবে না।

স্কুলটিতে তিন হাজারের বেশি ছাত্রী পড়াশোনা করে। আলাউদ্দিন নানা সময় একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। সিটি করপোরেশন পরিচালিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও এই স্কুলে তা সংযোজন করতে দেননি তিনি।

দশম শ্রেণির ছাত্রী ইয়ামনুর হাবিবা তানিয়া বলে, ‘অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির দুজন ছাত্রীকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরেন তিনি। বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীদের স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করেন। বিভিন্ন ছাত্রীকে তার কক্ষে একা দেখা করতে বলেন। ছাত্রীরা সঙ্গে অন্য কোনো সহপাঠীকে নিয়ে গেলে, তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।’

এগুলো স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী, এমনকি এলাকার লোকজনও জানে বলেও উল্লেখ করে তানিয়া। সে বলে, ‘কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। গতকালও তিনি একজনকে হেনস্তা করেছেন।’

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী অভিভাবক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সালেও এই ধরনের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালেও তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠে।

‘পুলিশ লাইনস স্কুল ও ছালেহজহুরে (ছালেহ জহুর সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়) থাকার সময়ও তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্রী ও তার অভিভাবকের কাছে মাফ চেয়ে পার পান তিনি। পুলিশ লাইনস স্কুলে এই ধরনের অভিযোগ ওঠার পর এলাকাবাসী তাকে উত্তমমধ্যম দিয়েছিল।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বলেন, ‘আগের যে অভিযোগগুলো ছিল সেগুলোর সত্যতা নেই। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও এলাকার কিছু পলিটিক্যাল লোক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। ভর্তি বাণিজ্য চালাতে না পেরে অভিভাবকরাও আমার পিছে লেগেছে।’

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু বলেন, ‘আমি মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। আমাদের শিক্ষা অফিসার লুৎফন নাহারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়ে দিতে বলেছেন যে অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে তিনি আর স্কুলে যেতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর