বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ বারের সিনিয়র আইনজীবীরা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
জানাজা-পূর্ব বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীকাল সোমবার উচ্চ আদালতের বিচার কাজ আধাবেলা পর্যন্ত চলবে। বিরতির পর থেকে বিচার কাজ চলবে না।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘খন্দকার মাহবুব হোসেন অর্ধ শতাব্দি ধরে এই অঙ্গনে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এই অঙ্গনে বিশেষ করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আমরা মনে করি। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র খসে পড়ল। এটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের।
‘বার ও বেঞ্চের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে তার নীতি ছিল অনুসরণীয়। তার অনেক কাজই ছিল উৎসাহমূলক। একজন ভালো আইনজীবীর কাজ হচ্ছে তার মক্কেলের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করা। বিচারকের প্রতি চাপ সৃষ্টি করা নয়। এই কাজটি তিনি কখনোই করেননি। রায় পক্ষে না এলেও তিনি কখনও আদালতকে হেয় করে কথা বলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাবজ্জীবন মানে কত বছর- এই মামলায় খন্দকার মাহবুব হোসেন যে অবদান রেখেছেন তা অতুলনীয়। তিনি শতভাগ আমাদের সাহায্য করার কারণে এ বিষয়ে রায় দেয়া আমাদের পক্ষে সহজ হয়েছে।’
জানাজায় প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহসহ শত শত আইনজীবী অংশ নেন।
এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খন্দকার মাহবুব হোসেনের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় মাটির মসজিদে পঞ্চম দফা জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে খন্দকার মাহবুবকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে খন্দকার সোয়েব মাহবুব।
খন্দকার মাহবুব হোসেন শনিবার রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা রেখে গেছেন।