২০২৩ সালে আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে বিদায় করার আশা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এটিই তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান গয়েশ্বর। এ সময় তিনি এই আশার কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জিয়া পরিবার ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন নেতা-কর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গয়েশ্বর।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য অর্জন। আমরা আশা করি ২০২৩ সাল জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই মূলত ক্ষমতার বাইরে তারা। তবে সে সময় বিএনপির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থাকায় এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ ছিল দলটির।
তবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর থেকে রাষ্ট্রক্ষমেতা থেকে পুরোপুরি দূরে চলে যায় তারা। সদ্য বিদায়ী বছরে বিএনপি গত প্রায় দেড় যুগের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে পেরেছে। দলটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে।
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদের সহাবস্থান নেই। প্রাইমারি হাই স্কুলে লেখাপড়া করতে পারলেও এইচএসসি পাস করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে লেখাপড়া করতে পারে না ছাত্ররা। আওয়ামী লীগ দেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে ছাত্রদলের নেতাদের প্রতি প্রত্যাশা থাকে, তারা ছাত্র সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বর্তমান কমিটির নেতা তবিবুর রহমান সাগর, আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, খায়রুল আলম সুজন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আনোয়ার হোসেন, শাফি ইসলাম, আবু জাফর, মো. আদনান, মো. মোহনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।