বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াপল্টনে খন্দকার মাহবুবের জানাজা

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫৩

জানাজা শেষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে খন্দকার মাহবুবকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো ছিল।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের তৃতীয় জানাজা নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হয়েছে।

রোববার বেলা সোয়া ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জানাজা হয়।

জানাজা শেষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে খন্দকার মাহবুবকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো ছিল।

এর আগে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ছাপড়া মসজিদে। এরপর দ্বিতীয় জানাজা হয় মিরপুরে খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতালের সামনে।

মোট পাঁচটি স্থানে তার জানাজা শেষে দাফন করা হবে আজিমপুরে।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ অন্য নেতারা।

এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাপগা) বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খন্দকার মাহবুব। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

ফুসফুসে পানি জমায় সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

খন্দকার মাহবুবের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন খন্দকার মাহবুব। তিনি চার দফায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনি আদালতে লড়তেন।

এদিকে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। খন্দকার মাহবুবের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর