নতুন বছরে জঙ্গিরা নতুন করে আবার মাথাচাড়া দিলে এবং কোনো সংকট তৈরি হলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে র্যাবের। আর এলাকার গুরুত্ব বিবেচনা করেই রাজধানীর গুলশান, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থার্টিফার্স্ট নাইটে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন শনিবার রাতে গুলশান-২ নম্বর মোড়ে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গুলশান-বারিধারাকেন্দ্রিক বাড়তি নিরাপত্তার পেছনে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, ‘গুলশান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় দূতাবাস, ফাইভ স্টার হোটেল ছাড়াও সমাজের উচ্চবিত্তদের বসবাস। সব কিছু হিসাব করে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছি।’
থার্টিফার্স্টের নিরাপত্তা বিষয়ে র্যাব প্রধান বলেন, ‘ডিএমপি থেকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এগুলো সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ করছি। উন্মুক্ত স্থানে ও ছাদে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে ফাইভ স্টার হোটেলের অনুষ্ঠানে বাধা নেই।’
বাড়তি নিরাপত্তা উৎসবে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে কি না- এমন প্রশ্নে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘মাদক খেয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ঠেকানোর জন্য আমরা মাঠে আছি। এ জন্যই আমরা একটু কঠোরতা নিয়ে থাকি। সারা দেশে মানুষ উৎসব করবে। কিন্তু নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
‘সারা বিশ্বের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নববর্ষের ভিন্ন আয়োজন থাকে। তেমনি আমাদের দেশে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের চাপ বেশি থাকে। এ জন্যই আমরা এসব এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এ ছাড়া তরুণরা গুলশানকেদ্রিক। তারা মোটরসাইকেল, গাড়িসহ বিভিন্নভাবে এই এলাকায় আসতে চায়। আমরা কাউকে নববর্ষ পালনে বাধা দিচ্ছি না। আমরা আধুনিকতা পছন্দ করি। কিন্তু এর নামে বেহায়াপনা করলে সেটা সমাজ মেনে নেবে না। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।’
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবিলায় কী ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। আর নতুন বছরে জঙ্গিরা নতুন করে মাথাছাড়া দিয়ে উঠলে এবং কোনো সংকট তৈরি হলে তা মোকাবেলায় আমরা মানসিকভাবে তৈরি আছি।
‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমরা সে অনুযায়ী নিরাপত্তা সাজিয়ে থাকি।’