ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ভোর থেকে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় থমকে গেছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, আজ লালমনিরহাট জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমবে। এ ছাড়া সামনে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
তীব্র এই শীতে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্থদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় এলাকার মাইক্রোবাসমালিক ও চালক মো. হাবিল জানান, গতকাল গাড়ি চালানো যায়নি আর আজও ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত গাড়ি চালানো সম্ভব হয়নি।
মিশন মোড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মিয়া জানান, কয়েকদিন থেকে তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। শীতের কারণে সকালে দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। জিনিসপত্রের যে দাম বিক্রি না হলে সংসার চালাবেন কীভাবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক ফারুক আহমদ জানান, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ক্ষেতে গিয়ে কাজও করতে পারছেন না তিনি।
রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, আজ লালমনিরহাটে আবহাওয়ার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সর্বনিম্ন ১২ এবং সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।