কৌশলের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক মিছিল বের করে পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের কোনও ঘাটতি ছিল না।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি। ‘গোয়েন্দা তথ্যের অভাবে নয় বরং জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কৌশলগতভাবে তাৎক্ষণিক বড় মিছিল নিয়ে আসায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালাতে পেরেছে,’ যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কোন মিছিল বা সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করা হবে। এটা তাদের একটা ট্রিক ছিল। আমরা এই বিষয়টি মাথায় রেখে বাইতুল মোকাররম কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করেছিলাম। আবুল হোটেল এলাকাতেও আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে বড় মিছিল নিয়ে আসায় আবুল হোটেলের সামনে পুলিশ সদস্যরা তাদের আটকাতে পারেনি। পরে মিছিলটি মৌচাক এলাকায় এলে সেটি আটকে দেয়া হয়। এখানে গোয়েন্দা তথ্যের কোন ঘাটতি নেই।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোন ধরনের মিছিল সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়াই তারা মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল এজন্য তাদের বাধা দেয়া হয়েছিল।
‘আমরা অত্যন্ত সিরিয়াসলি বিষয়টা নিয়েছি, যেহেতু তারা অনুমতি ব্যতীত রাস্তায় মিছিল করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার সিনিয়র অফিসারসহ ১১ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর বেআইনি হামলায় জড়িতদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে।’