বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নষ্ট নোটিশ বোর্ডে ভোগান্তিতে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০২

ইলেকট্রনিক নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে কলেজ খোলা বা বন্ধ থাকাসহ পরীক্ষা, ফরম ফিলাপ, ভর্তির গুরুত্বপূর্ণ নোটিশগুলো জানতে পারতো। তবে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা বোর্ডটিতে শিক্ষার্থীরা নোটিশগুলো দেখতে পারছেন না।

পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একমাত্র ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইলেকট্রনিক এ বোর্ডটির বেহাল দশার কারণে সঠিক তথ্যের অভাবে শিক্ষার্থীদের নানা সময় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের পুরাতন ভবনের দেয়াল ঘেঁষে ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডটি লাগানো রয়েছে। ইলেকট্রনিক বোর্ডের বেশিরভাগ অংশ দেখা যায় না। মাত্র অল্প একটু অংশ দিয়ে লেখা ভেসে ওঠে। এছাড়া পাশে থাকা ইলেক্ট্রনিক ঘড়িটিরও একই অবস্থা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইলেকট্রনিক নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে কলেজ খোলা বা বন্ধ থাকাসহ পরীক্ষা, ফরম ফিলাপ, ভর্তির গুরুত্বপূর্ণ নোটিশগুলো জানতে পারতো। তবে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা বোর্ডটিতে শিক্ষার্থীরা নোটিশগুলো দেখতে পারছেন না।

কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে তিন হাজার ২৯০ জন ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডের অচল অবস্থায় কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

তাদের বেশিরভাগ নোটিশই ডিজিটাল বোর্ডে দেয়া হয়। বিকল হয়ে যাওয়া বোর্ডে স্পষ্ট বুঝতে না পেরে তাদের সনাতন পদ্ধতির নোটিশ বোর্ডে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে হয় তাদের। সেখানে ঠিকমতো নোটিশগুলো টাঙানো হয় না বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভাগগুলোর ফেসবুক গ্রুপ থাকলেও কলেজ পর্যায়ে সেটি না থাকায় কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

ক্ষোভ জানিয়ে কলেজের শিক্ষার্থী মানসুরা ইয়াসমীন যুথি বলেন, ‌‘বছর জুড়েই কলেজে বিভিন্ন পরীক্ষা চলনান থাকে। চাকরি কিংবা পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। এতে করে বিভাগে যাওয়া যায় না, আর নোটিশও দেখা যায় না। কিন্তু ডিজিটাল নোটিশ বোর্ড থাকলে বাইরে থেকেও যেকোনো শিক্ষার্থী তা দেখতে পারতো।’

কলেজের একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী মারুফ আকন্দ বলেন, ‘যে ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডে আমরা সব নোটিশ খুব দ্রুত এবং সহজেই পেতাম, সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে। কলেজের বোর্ডে নোটিশ দেয়ার আগেেই আমরা এখানে নোটিশগুলো পেতাম।’

দ্বাদশ শ্রেণির নিগার হাবিবা নেহা বলেন, ‘ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডটি ঠিক থাকলে আমরা এখান থেকেই সবকিছু খুব সহজে জানতে পারতাম, যা এখন সম্ভব হচ্ছে না। এটি খুব দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. মোহসিন কবীর বলেন, ‘আমি এই কলেজে আসার পরে কয়েকবার বোর্ডটি ঠিক করেছি। এই নোটিশ বোর্ডটি যেই বা যারা লাগিয়েছে খুবই নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এ কারণে বোর্ডটি ঠিক কররেও বার বার নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান বোর্ডটি একটু ব্যয়বহুুল হওয়ার কারণে নতুন করে লাগানো একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা নতুন করে লাগানোর চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর